কোভিড ১৯-এর উৎস নিয়ে আবার বিতর্ক, যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জবাব চায় আরো অনেক দেশ

A worker directs members of the WHO team upon their arrival in Wuhan, January 14, 2021

A worker directs members of the WHO team upon their arrival in Wuhan, January 14, 2021 Source: AAP

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে করোনাভাইরাসের উৎস কোথায় বা কিভাবে জানতে তাদের প্রচেষ্টা বহুগুন বাড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে চীন সরকারও কড়া জবাব দিয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বলেছে, করোনাভাইরাস উহানের কোন ল্যাবরেটরি থেকে দুর্ঘটনাবশতঃ ছড়িয়েছে এরকম ধারণার ওপর ভিত্তি করে 'তারা রাজনৈতিক সুবিধা নিতে এবং অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে'।


করোনাভাইরাসের উৎস তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশের পর এই বিষয়টি আবারো গতি পেয়েছে যখন কানাডিয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও এতে সমর্থন দেন।  

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন যে ৯০ দিনের মধ্যে তিনি চান এই ভাইরাস কিভাবে উদ্ভব হলো তা জানতে, যেটি প্রথম সনাক্ত হয় ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনে। 

তিনি বলেন, তারা নানা পরস্পরবিরোধী তত্ত্বসহ উহানের ভাইরোলজি ল্যাবের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিল কিনা তা জানতে চান, এবং এটি যখন সম্পন্ন হবে তখন মানুষকে জানানো হবে। 
তাই এই নতুন বিতর্কের পর ফেসবুক বলেছে যে তারা 'ভাইরাসটি মানুষ-সৃষ্ট' এমন বক্তব্য সম্বলিত পোস্ট সরাবে না।

এদিকে চীনা সরকার বার বার বলছে যে কোভিড ১৯ এবং ভাইরোলজি ল্যাবের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।  

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান অভিযোগ করে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র চীনকে বলির পাঠা বানাতে চায়'।
COVID in India
People wait to get tested for coronavirus at a COVID-19 testing centre in Srinagar.India Source: Sipa USA Idrees Abbas / SOPA Images/Sipa
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার সরকারের সাবেক একজন শীর্ষ পরামর্শকের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে সরকার চাইলে কোভিড ১৯-এর কারণে অনাবশ্যক হাজার হাজার মৃত্যুগুলো এড়ানো যেতো। 

ডমিনিক কামিন্স নামের ওই সাবেক কর্মকর্তা বলেছেন সরকার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে এবং অযোগ্যতা দেখিয়েছে।  

কিন্তু মিঃ জনসন বলেছেন এসব অভিযোগ অসত্য।
যুক্তরাজ্যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সনাক্তের পর এক সপ্তাহের মধ্যে সনাক্ত সংখ্যা দ্বিগুন হয়ে ৭,০০০ হয়ে গেছে। 

হেলথ সেক্রেটারি ম্যাট হ্যানকক এই কারণে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন আগামী মাসে ইংল্যান্ডে যে রেস্ট্রিকশন তুলে দেয়ার কথা ছিল তা বিলম্ব হবে। 


এদিকে ভারতে দৈনিক হারে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ কোভিডে সনাক্ত হচ্ছে, এখনো পর্যন্ত সেখানে রেকর্ড করা হয়েছে ২৭.৩৭ মিলিয়ন। 

মানুষকে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন দিতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়েছেন, ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কায় এখনো পর্যন্ত সেখানে মারা গেছে ৩ লক্ষ ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।  

দেশটি ফাইজার, মডার্না এবং জনসন এন্ড জনসন ভ্যাকসিন আমদানির জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।  

ভারত সরকারের পাবলিক পলিসি ইনস্টিটিউটের সদস্য ডঃ বিনোদ কুমার পাল বলেন, তারা ফাইজার ভ্যাকসিন পেতে চেষ্টা করছেন।
A Pfizer vaccine is administered at the COVID-19 Vaccination Centre in Sydney
Ben Shepherd from the Rural Fire Service receives a Pfizer vaccine at the newly opened COVID-19 Vaccination Centre in Sydney. (Nick Moir/Pool Photo via AP) Source: Nick Moir/Pool Photo via AP
এদিকে আফ্রিকা ভ্যাকসিন ঘাটতিতে ভূগছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বলেছে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে তাদের অন্তত ২০ মিলিয়ন ডোজ এস্ট্রাজেনিকা টিকা প্রয়োজন। যারা ইতিমধ্যে প্রথম টিকা নিয়েছে তাদের সর্বোচ্চ সুরক্ষার জন্য দ্বিতীয় টিকা নেয়া প্রয়োজন।  

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোন বর্তমানে রুয়ান্ডা ভ্রমণ করছেন, তিনিও এতে সমর্থন জানিয়েছেন।  

প্রাদুর্ভাব শুরুর পর আফ্রিকায় ৪৭ লক্ষ মানুষ কোভিড ১৯-এ সনাক্ত হয়েছে এবং ১ লক্ষ ৩০ হাজারের মত মানুষ মারা গেছে।  

আপনার ভাষায় করোনাভাইরাস তথ্যের জন্য আরো জানতে ভিজিট করুন

পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন। 

এসবিএস বাংলার রেডিও অনুষ্ঠান শুনুন প্রতি সোমবার এবং শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং আরও খবরের জন্য আমাদের ফেইসবুক পেইজটি ভিজিট করুন।

আরও দেখুনঃ

Share