ভারত থেকে কোভিড-টেস্ট নেগেটিভদেরকে শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ায় প্রত্যাবাসন করা হচ্ছে

About 80 Australians who were stranded in coronavirus-ravaged India have touched down in Darwin on the first post-ban repatriation flight.

A supplied image obtained on Saturday, May 15, 2021, shows passengers disembarking a Qantas repatriation flight from India at RAAF Base Darwin in the NT. Source: Royal Australian Air Force

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

দু’সপ্তাহের মাঝে এই প্রথম ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় একটি ফ্লাইট পৌঁছুলো। ১৫ মে, শনিবার ফেডারাল সরকারের বিতর্কিত ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়। সেদিন ডারউইনে ভারত থেকে আগত ফ্লাইটটিতে ১৫০ জন যাত্রীর আসার কথা থাকলেও অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে আসে অস্ট্রেলিয়া। কোভিড-১৯ টেস্ট পজেটিভ হওয়ায় বাকিদেরকে নিয়ে আসা হয় নি। এই ফ্লাইটটিতে আসা ব্যক্তিদের মাঝে কেউ কেউ এসবিএস-কে বলেন, কোভিড-সঙ্কটের এই সময়টিতে ভারত থেকে ফিরে আসতে পেরে তারা খুশি। আর, যারা ভারতে আটকে পড়েছেন, তারা দেশে ফিরে আসার জন্য মরিয়া হয়ে আছেন।


ভারত থেকে ফ্লাইট আসার সাময়িক নিষেধাজ্ঞা অফিশিয়ালি তুলে দেওয়া হয়েছে। গত দু’সপ্তাহের মাঝে কোভিড-বিধ্বস্ত ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসা প্রথম ফ্লাইটটি শনিবার, ১৫ মে ডারউইনে পৌঁছেছে।

১৫০ জন যাত্রী পরিবহন করার কথা থাকলেও এতে মাত্র ৮০ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়। এই যাত্রীদের ফিরে আসার বিষয়ে অনেকেই আকুলভাবে অপেক্ষায় ছিলেন। তাদেরই একজন কুমার দক্ষ। তার স্ত্রী অনু ফিরে এসেছেন এই ফ্লাইটে।

গত বছর জানুয়ারিতে ভারতে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু, বিয়ের মাত্র ২০ দিন পরই, বৈশ্বিক মহামারীর কারণে তাদেরকে দু’জায়গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে হয়।

এই ফ্লাইটে আরোহণের আগেও তিনি আইসোলেশন বা নির্জনবাসে ছিলেন এবং তার কোভিড-টেস্টের ফলাফলও নেগেটিভ ছিল। তারপরও, হাওয়ার্ড স্প্রিংস ফ্যাসিলিটিতে এখন দু’সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকছেন অনু।

তবে, তিনি ও তার সঙ্গের যাত্রীরা ভাগ্যবান। তাদের সঙ্গে আরও অনেকেরই আসার কথা ছিল। কিন্তু, কোভিড-টেস্ট রেজাল্ট পজেটিভ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তাদেরকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয় নি।
আর, আরও অনেকেই ফ্লাইট বুকিং পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। এদেরই একজন তুলসি সঙ্গেপু। দাক্ষিণাত্যের হায়দ্রাবাদের নিকটবর্তী এলাকায় তিনি আটকে পড়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে তার তিন বছরের ছেলেকে ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সংক্রমিত হন। 

কোভিড-টেস্টে নেগেটিভ হওয়ার পর থেকে তিনি ঘরে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে আছেন।

যে ৭০ জন যাত্রী ফ্লাইট থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েছেন, তাদেরকে ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেইন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (ডি-ফ্যাট) ইমেইল করে জানিয়েছে যে, তাদেরকে প্রথমে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা আর সংক্রমিত নন। তারপর তাদেরকে অন্যান্য ফ্লাইটগুলোর জন্য বিবেচনা করা হবে।

সরকারিভাবে অন্তত আরও ছয়টি চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে মে মাসের মধ্যে। তৃতীয় দেশগুলোর মধ্য দিয়ে আসা ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদের প্রতি নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়েছে।

তবে, কেউ কেউ মনে করছেন, এ বিষয়ে সরকারের আরও বহু কিছু করণীয় আছে।

ফেডারাল বিরোধী দলীয় নেতা অ্যান্থোনি অ্যালবানিজি এ নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন।

এদিকে, এ বিষয়ে সরকারের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ।

যে-সব অস্ট্রেলিয়ান এখনও দেশে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন কুমার দক্ষ।

আপনার ভাষায় কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারী বিষয়ক হাল-নাগাদ তথ্য, স্বাস্থ্য-সেবা ও সরকারি বিধিনিষেধ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন sbs.com.au/coronavirus.

প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share