অস্ট্রেলিয়ার এ বছরের ফেডারাল বাজেট সম্পর্কে ড. রেজা মোনেম বলেন,
“গত বারের মতো এবারের বাজেটও একটা বিশাল অঙ্কের বাজেট। ২০২১-২২ অর্থ-বছরে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮৯.৩ বিলিয়ন ডলার। আর, রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৪৯৬.৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেক বেশি।”
এই ঘাটতি বাজেট সম্পর্কে তিনি বলেন,
“সারা বিশ্ব বলতে গেলে কোভিড মহামারীর কারণে একটা অর্থনৈতিক মন্দার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় এ বছরের শুরুর দিকে কিছুটা মৃদু মন্দার ভাব দেখা দিয়েছিল। কাজেই, সরকারের একটা বড় উদ্দেশ্য হলো, এখন এই কোভিডজনিত কারণে যে অর্থনৈতিক মন্দা বা মন্দার ভাব তৈরি হতে পারে, তার থেকে অর্থনীতিকে বের করে আনা, অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করা, অর্থনৈতিক কর্মসংস্থান যোগানো, বেকারত্বের হার কমানো এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো। আর সেই লক্ষ্যেই সরকারের এই বিশাল ব্যয়ের আয়োজন।”
সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয়ের যে পরিকল্পনা, বিশেষত, অবকাঠামো নির্মাণে, তার দীর্ঘমেয়াদে তাত্পর্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে জনগণের ওপরে করের বোঝা চাপবে।
“এই যে বিশাল ব্যয়ের বাজেট, এটা কিন্তু সরকারের যেমন ঋণ বাড়াচ্ছে, সেই ঋণ কিন্তু সরকারকে তার জনগণের কাছ থেকেই আবার তুলতে হবে। কারণ, সরকার যখন টাকা খরচ করে, অর্থ খরচ করে জনগণের পিছনে, সরকার আশা করে জনগণ সেই অর্থটা সরকারের কাছে আবার ফিরিয়ে দিবে করের মাধ্যমে। তার মানে, ভবিষ্যতে একটা বিরাট রকমের করের ধাক্কা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এবং আমাদেরকে সামলাতে হবে।”
অভিবাসীদের ওপরে এই বাজেটের প্রভাব সম্পর্কে ড. রেজা মোনেম বলেন,
“অভিবাসীদের জন্য এটি একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়ার বাজেট।”
প্রফেসর রেজা মোনেমের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
![ড. রেজা মোনেম বলেন, “গতানুগতিক ক্যাম্পাস-ভিত্তিক পাঠদানের সাথে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের বেশ কিছু তফাত রয়েছে এবং দুটো দিকেরই বেশ কিছু সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে।”](https://sbs-au-brightspot.s3.amazonaws.com/drupal/yourlanguage/public/professor_reza_monem.jpeg?imwidth=1280)
এবারের বাজেট সম্পর্কে ড. রেজা মোনেম বলেন, ভবিষ্যতে একটা বিরাট রকমের করের ধাক্কা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এবং আমাদেরকে সামলাতে হবে। Source: Professor Reza Monem