ফেডারেল বাজেট ২০২০: পার্টনার ভিসা এবং স্কীলড মাইগ্রেশনে অগ্রাধিকার, জোর দেয়া হয়েছে ইংরেজিতে দক্ষতায়

এক্টিং ইমিগ্র্যাশন মিনিস্টার এলান টাজ বলেছেন, পার্টনার ভিসার আবেদনকারী এবং স্পনসরদের ইংরেজি দক্ষতার শর্ত যুক্ত করা হয়েছে যাতে তাদের চাকরির সুযোগ বাড়ে। এদিকে সন্তানসহ ফ্যামিলি ভিসা আবেদনকারীদের ভিসার সংখ্যা কমেছে, অগ্রাধিকার দেয়া হবে স্কীলড মাইগ্রেশন এবং অন-শোর বা অস্ট্রেলিয়ার ভেতর থেকে যারা আবেদন করবেন তাদের।

Alan Tudge

New rules for Australian partner visas from late 2021. Source: AAP, Getty

ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা 

অস্ট্রেলিয়ান পার্টনার ভিসার আবেদনকারীদের এবং তাদের স্পনসরদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বা তারা ২০২১ সাল শেষ হওয়ার আগেই দক্ষতা অর্জনের উদ্যোগ নিয়েছে এমন ব্যবস্থা দেখাতে হবে। সরকার চায় করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে কর্মসংস্থান পরিস্থিতির যতটা সম্ভব উন্নতি। 

এক্টিং ইমিগ্র্যাশন মিনিস্টার এলান টাজ বৃহস্পতিবার পার্টনার ভিসায় ইংরেজিতে দক্ষতার বাধ্যবাধকতা ব্যাখ্যা করে বলেছেন, যারা ইংরেজিতে দক্ষ নয় এমন লোকদের মধ্যে মাত্র ১৩ শতাংশ কাজ পায় , অন্যদিকে ভালো ইংরেজি জানা লোকদের মধ্যে কর্মসংস্থানের হার ৬২ শতাংশ। 

তিনি বলেন, "গত কয়েক দশকে ইংরেজি না জানা লোক ব্যাপক বেড়ে গেছে, এবং এই সংখ্যাটি এখন এক মিলিয়ন, অথচ তাদের অর্ধেকই কাজ করতে সক্ষম।"

তবে যারা দুই বছরের প্রভিশনাল ভিসায় আসবেন তাদের অস্ট্রেলিয়া আসার আগেই ইংলিশ টেস্ট পাশ করার প্রয়োজন নেই, কিন্তু পার্মানেন্ট ভিসা পাওয়ার আগেই তাদের দেখাতে হবে যে তারা অন্তত ফাঙশনাল ইংলিশ জানে বা শেখার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে।  

ভিসা প্রত্যাশীদের অ্যাডাল্ট মাইগ্রেশন ইংলিশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্তত ৫০০ ঘন্টা ফ্রী ইংলিশ ক্লাস করতে হবে।  

ইংরেজিতে দক্ষতার শর্ত যুক্ত করার সমালোচনা

এদিকে ইংরেজিতে দক্ষতার এই শর্ত যুক্ত করার সমালোচনা করেছেন অনেকে। 

লেবার দলের মাল্টিকালচারাল অ্যাফেয়ার্স শ্যাডো মিনিস্টার অ্যান্ড্রু জাইলস এ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "একজন অস্ট্রেলিয়ানের সাথে প্রণয়ের সম্পর্কের জন্য ইংরেজিতে দক্ষতার কি সম্পর্ক তা বোধগম্য নয়।"

অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ডেমোগ্রাফার লিজ এলেন এসবিএস নিউজকে বলেন, "এই শর্ত অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইট অস্ট্রেলিয়া পলিসিতে ফিরিয়ে আনার সেন্টিমেন্ট, সরকারের বিবেচনায় কোনটা সঠিক সম্পর্ক যেন তার সংকেত দেয়া হচ্ছে।" 

তিনি বলেন,"এতে অনেকে অস্থিরতায় ভুগবে এবং তাদের হৃদয় ভঙ্গ হবে।" 

পার্টনার ভিসার সংখ্যা বৃদ্ধি 

২০২০-২১ সালে পার্টনার ভিসা সংখ্যা ৭২,৩০০ করা হয়েছে যা আগে ছিল ৪৭,০০০, তবে অন-শোর আবেদনকারী যারা নির্দিষ্ট রিজিওনাল এলাকায় বাস করছে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এর মধ্যে সন্তানসহ ফ্যামিলি ভিসার জন্য ৫,০০০টি স্থান থাকছে।  

অগ্রাধিকার পাচ্ছে অন-শোর স্কীলড মাইগ্রেশন 

ফেডারেল সরকার স্কীলড মাইগ্রেশনের প্রতি বেশি ঝুঁকছে, এক্ষেত্রেও সরকার অন-শোর আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেবে। সরকার প্রত্যাশা করছে তারা 'সবচেয়ে ভালো এবং মেধাবীদের' অস্ট্রেলিয়াতে আনতে প্রলুব্ধ করতে পারবে।

এবারের বাজেটে শরণার্থীদের জন্য সুযোগ সীমিত করা হয়েছে, এসাইলাম সীকার বা হিউম্যানিটেরিয়ান ভিসা প্রোগ্রামের সীমা রাখা হয়েছে ১৩,৭৫০টি ভিসার। 

তবে মোট ভিসা সংখ্যা ২০১৯-২০ সালের তুলনায় একই থাকছে। ২০২০-২১ সালের জন্যও মাইগ্রেশন ক্যাপ ধরা হয়েছে ১৬০,০০০টি ভিসা।

আরও দেখুনঃ

Share
Published 8 October 2020 1:57pm
Updated 8 October 2020 5:22pm
Presented by Shahan Alam
Source: SBS News

Share this with family and friends