অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ কাউন্সিলের অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশী গবেষক

অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ কাউন্সিলের (ARC) ডিসকভারি আর্লি ক্যারিয়ার রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডস (DECRA) পেয়েছে UNSW এর ২২ টি প্রজেক্ট।

অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ কাউন্সিলের (ARC) ডিসকভারি আর্লি ক্যারিয়ার রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডস (DECRA) পেয়েছে UNSW এর ২২ টি প্রজেক্ট। Source: Getty Images/Oliver Strewe

অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ কাউন্সিলের (ARC) ডিসকভারি আর্লি ক্যারিয়ার রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডস (DECRA) পেলেন বাংলাভাষী গবেষক ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহিম।


হাইলাইটস

  • ফেডারাল সরকার ২০০ টি প্রজেক্টে ৮৪ মিলিয়ন ডলার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে।
  • ৯ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া সুনিশ্চিত করেছে ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলস।
  • গবেষণার জন্য ড. রহিম পেয়েছেন ৩৯৫,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার অনুদান।

অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রজন্মের গবেষকদেরকে সহায়তা করার জন্য সম্প্রতি ফেডারাল সরকার ২০০ টি প্রজেক্টে ৮৪ মিলিয়ন ডলার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। এত্থেকে ৯ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অ্যাওয়ার্ড পাওয়া সুনিশ্চিত করেছে ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলস ()।

অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ কাউন্সিলের (ARC) ডিসকভারি আর্লি ক্যারিয়ার রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডস (DECRA) পেয়েছে UNSW এর ২২ টি প্রজেক্ট। এর মধ্যে রয়েছে  বাংলাভাষী ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহিমের প্রজেক্টটি। গবেষণার জন্য তাকে ৩৯৫,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার অনুদান প্রদান করছে অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ কাউন্সিল।
ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলসে রিসার্চ ফেলে হিসেবে কাজ করেন বাংলাদেশী গবেষক ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহিম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনার পর তিনি পিএইচডি করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্নে।
(গবেষণাটি) খুব অ্যাবস্ট্র্যাক্ট বিষয় একদমই না। এটা মানুষের উপকারে আসবে।
এই অ্যাওয়ার্ড সম্পর্কে তিনি বলেন,

“অস্ট্রেলিয়াতে আসলে দুই ধরনের ন্যাশনাল ফান্ডিং আছে। একটা হচ্ছে NHMRC (National Health and Medical Research Council), হেলথ-রিলেটেড রিসার্চের জন্য। আর, আরেকটা হচ্ছে, ফিজিকাল বা ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স ও অন্যান্য ক্ষেত্রের জন্য, অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ কাউন্সিল।”

তার গবেষণা সম্পর্কে তিনি বলেন,

“(গবেষণাটি) খুব অ্যাবস্ট্র্যাক্ট বিষয় একদমই না। এটা মানুষের উপকারে আসবে।”

“আমরা চা যখন খাই, যে কোনো টি বা কফিতে একটা ন্যাচারাল পলিফিনালস বলে কেমিক্যাল কম্পাউন্ড আছে। এটা আমাদের শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটা আসলে অক্সাইড র‌্যাডিক্যাল যেটা আপনার শরীরে তৈরি হয়। এটা ওরা ক্যাপচার করতে পারে। ফলে আপনার কোষগুলোর খুব একটা ক্ষয়-ক্ষতি হয় না।”

“আপনি যখনই দেখবেন যে, খাওয়া-দাওয়ার পরে একটু চা খেলে হয়তো একটু বেটার ফিল হয়। আমি এই পলিফিনাল কেমিস্ট্রি নিয়ে নিয়ে প্রচুর কাজ করেছি।”
পাবলিকেশন্স ট্র্যাক রেকর্ড খুব হাই হতে হবে। হাই কোয়ালিটি পাবলিকেশন্স বা রিসার্চ আসলে তখনই হয় যখন আপনি এ কাজটাকে ভালবাসবেন।
“যে প্রজেক্টটা আমি অ্যাপ্লাই করেছি এবং ফান্ডেড হয়েছি, এটা আসলে আমার যে পিএইচডি রিসার্চ এবং বর্তমানে আমি রিসার্চ ফেলো হিসেবে UNSW এ আছি; আমি আসলে এই দুটি স্কিল মার্জ করার চেষ্টা করছি ও নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি করার চেষ্টা করছি।”

“এখানে আমার প্রজেক্টের যে মেইন বিষয় সেটা হচ্ছে যে, লিকুইড মেটালের ন্যানো পার্টিকল ফাংশনালাইজ করবো।”

বাংলাদেশ থেকে আসা গবেষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন,

“আর নতুন যারা আসছেন তাদেরকে আমি এতোটুকু বলবো যে, এ ধরনের অ্যাওয়ার্ড পেতে হলে এর প্রস্তুতি আরেকটু আগে থেকে নিতে হবে, পিএইচডির সময় থেকে। এর মানে হচ্ছে যে, পাবলিকেশন্স ট্র্যাক রেকর্ড খুব হাই হতে হবে। হাই কোয়ালিটি পাবলিকেশন্স বা রিসার্চ আসলে তখনই হয় যখন আপনি এ কাজটাকে ভালবাসবেন।”
অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ কাউন্সিলের (ARC) ডিসকভারি আর্লি ক্যারিয়ার রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডস (DECRA) পেলেন বাংলাভাষী ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহিম।
অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ কাউন্সিলের (ARC) ডিসকভারি আর্লি ক্যারিয়ার রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডস (DECRA) পেলেন বাংলাভাষী ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহিম। Source: Dr. Md. Arifur Rahim
ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহিমের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share