বিএনপি থেকে ঢাকা-৭ এবং ২ আসনের মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা রিয়াজউদ্দিন আহমেদ মণি। মেলবোর্ন প্রবাসী রিয়াজউদ্দিন আহমেদ প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর ছোট ভাই। পিন্টুর আসনেই নির্বাচন করার পরিকল্পনা ছিল তার।
"আমার ভুলেই নমিনেশন পাইনি। আমার ভোটার আইডি কার্ড ছিল না।" রিয়াজউদ্দিন আরো জানান, "নির্বাচনে কি হয় তা বলা মুশকিল। দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারেই নির্বাচনে গিয়েছে বিএনপি।"
মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন যুবলীগ অস্ট্রেলিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ আব্দুল্লাহ আল নোমান। এ আসনে এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থী ঘোষণা করেনি আওয়ামী লীগ। তবে জোড় আলোচনা রয়েছে নৌকা প্রতীকে এ আসন থেকে লড়বেন বিকল্পধারার মাহী বি চৌধুরী। নির্বাচনে মহাজোটের অংশ হতে আগেই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
নোমান জানান, "প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা থেকেই মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছি। মনোনয়ন না পেলেও থাকবে না হতাশা। দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই কাজ করব।"
এছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা-১৭ আসনের মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন হাসান সিমুন ফারুক রবিন। সিডনি প্রবাসী রবিন নিউ সাউথ ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি।
![A Bangladeshi election commission employ](https://sbs-au-brightspot.s3.amazonaws.com/drupal/yourlanguage/public/1-gettyimages-84097701_0.jpg?imwidth=1280)
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। Source: AFP
ঢাকা-১৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন মেলবোর্ন প্রবাসী কায়েস মাহমুদ জনি। এ আসন থেকে আব্দুস সালামকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ বা জমা দেয়া ছাড়াও বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন প্রবাসী অনেক বাংলাদেশী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের পরিবারের কোন একজন সদস্য পেয়েছেন মনোনয়ন।
কুমিল্লা-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে আয়মান বাহার পড়াশোনা করছেন মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আয়মানের শ্বশুর হচ্ছেন, নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
"ধন্যবাদ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে। কর্মীবান্ধব দু'নেতার উপর পুনরায় আস্থা রাখার জন্য।" আয়মান আরো বলেন, "নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়ী করতে মাঠ থেকে প্রচারণা চালাব আমরা।"
আওয়ামী লীগ থেকে পুনরায় মনোনয়ন পেয়েছেন ময়মনসিংহ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো: মোসলেম উদ্দিন। তার কণ্যা সাবেক ছাত্র নেত্রী সেলিমা বেগম স্বপরিবারে বসবাস করেন সিডনিতে।
তিনি বলেন, "১৯৭০ সাল থেকে দেশ ও মানুষের জন্য রাজনীতি করে আসছেন আমার বাবা। মানুষের ভালোবাসাতেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসছেন তিনি। প্রতিবারের মত এবারও নির্বাচনে বাবার পক্ষে মানুষের কাছে ভোট চাইতে দেশে যাচ্ছি আমরা।"
আগামী নির্বাচনে নিজ দলকে জয়ী করতে, ভোটের মাঠে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে অস্ট্রেলিয়া ছাড়বেন অনেকেই। তবে, এ তালিকায় বিএনপির নেতা-কর্মীর সংখ্যা খুবই কম। বিপরীতে সিডনি- মেলবোর্ন থেকে দলে দলে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের।