বয়স্ক-সেবা খাতে এখনই নজর দিতে হবে: রিপোর্ট

Hispanic nurse comforting senior woman

Report looks at how to improve aged care in Australia. Source: Digital Vision/Getty

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

বয়স্ক-সেবা খাতে কর্মী-সঙ্কট সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়টিতে। বিশেষভাবে, বহু-সাংস্কৃতিক জনগোষ্ঠীগুলোর ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি তীব্র আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, যদি জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয়, তাহলে আগামী দশকে এই খাতে এক লাখেরও (১০০,০০০) বেশি কেয়ারার বা সেবাকারীর অভাব দেখা দিবে।


ইরেমিয়াহ একটি বহুসাংস্কৃতিক হোম কেয়ার পরিষেবা-দানকারী কোম্পানি। এটি মূলত অভিবাসী কর্মী-বাহিনীর ওপরে নির্ভর করে থাকে। এই কোম্পানিটির মোটা দাগে প্রায় ৯০ শতাংশ সেবাদানকারীই অভিবাসী পটভূমির।

তবে, ইরেমিয়াহ-এর স্ট্রাটেজি অ্যান্ড বিজনেস ট্রান্সফরমেশন লিড মিচেল পিকোলো বলেন, বৈশ্বিক মহামারীর কারণে অভিবাসন প্রবাহে বাধা পড়ায় কোম্পানিটি এখন তীব্র কর্মী-সঙ্কটে ভুগছে।
এই সমস্যাটি অনুভূত হচ্ছে পুরো এই খাতটিতেই।

কমিটি ফর ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট অফ অস্ট্রেলিয়া বা সিডা (CEDA) এর একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার বয়স্ক-সেবা ব্যবস্থা তাৎপর্যপূর্ণভাবে কর্মী-স্বল্পতায় ভুগছে। এর ফলে সেবার মান বিশ্বমানের চেয়ে নিচে নেমে গেছে। এজড কেয়ার রয়্যাল কমিশনে বিষয়টি চিহ্নিত করা হয়েছে।

বর্তমানে, জনসংখ্যার শতকরা ১৬ ভাগের বয়স ৬৫ বছরের বেশি। তবে, আগামী দশক জুড়ে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০ শতাংশে পৌঁছুবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কর্মী-বাহিনী যদি বর্তমান গতিতে বিস্তৃত হয়, তাহলে ২০৩১ সাল নাগাদ এক লাখেরও (১০০,০০০) বেশি কর্মী-সঙ্কট দেখা দিবে।

রিপোর্টটির অথর জেরড বল ধারণা করছেন যে, ২০৫০ সাল নাগাদ এই সংখ্যা চার লাখেরও (৪০০,০০০) বেশি হবে, যদি না আমরা তাৎক্ষণিক ও জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

গবেষণাটিতে সতর্ক করা হয়েছে যে, সেবার নূন্যতম মান বজায় রাখার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিবছর অন্তত ১৭,০০০ এরও বেশি এজড-কেয়ার কর্মীর দরকার হবে।

রিপোর্টটিতে ভাল বেতন প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া, কাজের পরিবেশ, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরও জোর দিতে বলা হয়েছে। আর, নতুন প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও বিনিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। যেমন, ওয়েস্ট-অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক কোম্পানি ইন্টেলিকেয়ার যে রকম স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে, সে রকম ক্ষেত্রে।

সিইও জেসন ওয়ালার বলেন, এই প্রযুক্তিটি “গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেল” হিসেবে কাজ করে।

তবে, প্রযুক্তি পুরো চিত্রটির খুব ছোট একটি অংশ মাত্র। রিপোর্টটিতে কর্মীদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়টিকে জাতীয় অগ্রাধিকারে পরিণত করতে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .

Share