নামমাত্র পারিশ্রমিকে কাজ করানোর দায়ে মেলবোর্নের এক দম্পতি দণ্ডিত

Kandasamy (left) and Kumuthini Kannan (Right)

Kandasamy (left) and Kumuthini Kannan (AAP Image/James Ross) Source: AAP

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

মেলবোর্নের এক দম্পতি তাদের বাড়িতে একজন গৃহকর্মীকে ক্রীতদাসের মত ব্যবহার করার দায়ে দণ্ডিত হয়েছেন, মামলাটি অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম বলে বর্ণনা করা হয়েছে। কুমুথিনী এবং কান্দাসমি কানান গত এপ্রিলে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। রায় ঘোষণার পর তারা কোন অনুশোচনা প্রকাশ করেনি।


গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো

  • কুমুথিনী এবং কান্দাসমি কানান প্রত্যেকেই দুটি স্ল্যাভারি মামলায় অভিযুক্ত হন
  • ঘটনার শিকার একজন প্রবীণ নারী, কর্তৃপক্ষ তাকে যখন খুঁজে পায় তখন তিনি অসুস্থ হয়ে বাথরুমের ফ্লোরে পড়েছিলেন
  • ভিক্টোরিয়ান সুপ্রীম কোর্ট জাজ জাস্টিস জন চ্যাম্পিয়ন তাদের এই আচরণকে 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ' বলে নিন্দা করেছেন

প্রায় আট বছর ধরে কুমুথিনী এবং কান্দাসমি কানান ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন প্রবীণ নারীকে ক্রীতদাস করে রেখেছিলেন, বেতন দিতেন দিনে মাত্র তিন ডলার - বিনিময়ে ওই নারী দিনরাত কাজকর্ম করতে বাধ্য হতেন।

গত এপ্রিলে কুমুথিনী এবং কান্দাসমি কানান প্রত্যেকেই দুটি স্ল্যাভারি (নামমাত্র বেতনে কাজে বাধ্য করা) মামলায় অভিযুক্ত হন। 

গত ২১ জুলাই তাদের ভাগ্যে বিপর্যয় ঘটে, যেখানে মিসেস কানানকে আট বছরের জেল দেয়া হয়েছে এবং সবচেয়ে বেশি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে তার স্বামীকে ছয় বছরের জেল দেয়া হয়েছে।

ভিক্টোরিয়ান সুপ্রীম কোর্ট জাজ জাস্টিস জন চ্যাম্পিয়ন তাদের এই আচরণকে 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ' বলে নিন্দা করেছেন।
ঘটনার শিকার ওই নারীর সাথে কানান পরিবারের দেখা হয় ২০০৪ সালে ভারতে, যেখানে সে তাদের সাথে দুবার থেকেছিল। এরপর তিনি মেলবোর্নে আসেন টুরিস্ট ভিসায় ২০০৭ সালে।

সেখানে ওই দম্পতি তাকে দাস হিসেবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কাজ করান।

যখন কর্তৃপক্ষ তাকে খুঁজে পায় তখন তিনি অসুস্থ হয়ে বাথরুমের ফ্লোরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, তিনি ছিলেন অত্যন্ত দুর্বল এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলেও কোন চিকিৎসা হয়নি তার।

মিসেস কানান এম্বুলেন্স ডাকেন, কিন্তু এরপরেই সন্তানদের নিয়ে কনসার্টে চলে যান, ঘটনার শিকার ওই নারী তখন বাথরুমের ফ্লোরেই পড়েছিলেন ।

তার ওজন ছিল মাত্র ৪০ কেজি, তাকে হাসপাতালে ক্যাটাগরি ওয়ান রোগী হিসেবে ভর্তি করানো হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে বর্ণনা করেছেন 'দুর্বল রোগী' হিসেবে।

তিনি এখন মেলবোর্নের একটি নার্সিং হোমে সেবা নিচ্ছেন, কিন্তু জাজ চ্যাম্পিয়ন বলেন এই ঘটনার প্রভাব তাকে সারাজীবন কষ্ট দেবে।
যদিও কোর্ট বলেছে যে অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরণের মামলা এটিই প্রথম, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন অস্ট্রেলিয়ার মত দেশে দাসপ্রথার ঘটনা ঘটে না - এমন ভুল চিন্তা যারা করছেন এই ঘটনা তাদেরকে নাড়া দেবে।

এন্টি-স্ল্যাভারি অস্ট্রেলিয়ার ডিরেক্টর জেনিফার বার্ন বলেন, আধুনিক পৃথিবীর দাসত্ব খুবই সূক্ষ। 

তিনি বলেন, ২০০৪ সাল থেকে এই পর্যন্ত এধরণের ৩১টি অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

মিঃ এবং মিসেস কানান যথাক্রমে ৩ ও ৪ বছর পর প্যারোলের জন্য যোগ্য হবেন। 

তবে কোর্ট পুরো মামলার সময়ে তাদের মধ্যে কোন অনুশোচনা দেখতে পায়নি। 

পুরো প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন। 

Follow SBS Bangla on .

আরও দেখুন:


Share