অস্ট্রেলিয়ায় অপ্রত্যাশিতভাবে কর্মসংস্থানের হার বেড়েছে, তবে এটি প্রকৃত চিত্র নাও হতে পারে

Australia's new employment figures spur hopes of an economic recovery

Australia's new employment figures spur hopes of an economic recovery (Image Representational) Source: AAP

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

অর্থনৈতিক মন্দা এবং লকডাউনে ভিক্টোরিয়াবাসীর চাকরী হারানোর পরেও অস্ট্রেলিয়ার বেকারত্বের হার অপ্রত্যাশিত ভাবে কমেছে। কিন্তু এরপরেও অনেক ভিক্টোরিয়ান বেকার অবস্থায় আছে কারণ রাজ্যটিতে এখনো স্টেজ ফোর লকডাউন বলবৎ আছে।


স্টিভ সটোমেয়র মার্চ থেকে তার হসপিটালিটি জবটি হারানোর পর থেকে কাজ খুঁজে পেতে কষ্ট করে যাচ্ছেন। তিনি গুয়াতেমালা থেকে তিন বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন পড়াশোনা করতে, কিন্তু তিনি যেহেতু অস্থায়ী অভিবাসী তাই জবসিকার পেমেন্ট পেতে তার কোন সুযোগ নেই। 

এ সত্ত্বেও আশার কথা অস্ট্রেলিয়ার কর্মসংস্থানের চিত্রটির উন্নতি হচ্ছে। বেকারত্ব ৭.৫ ভাগ থেকে কমে ৬.৮ ভাগে নেমে এসেছে, ফলাফলে অনেকের মত খুশি ট্রেজারার যশ ফ্রেইডেনবার্গও।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ৪৫৮,০০০ চাকরী তৈরী হয়েছে গত ৩ মাসে, যার ৬০ ভাগ করছে নারীরা এবং ৪০ ভাগ তরুণরা।

ইকুইটি ইকোনমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ এঞ্জেলা জ্যাকসন। তিনি বলেন, চাকরীর  এই চিত্রে দেখা যায় অগাস্ট মাসে বেশি সংখ্যায় লোক চাকরী খুঁজেছে।  কিন্তু তখন তারা যত কর্মঘন্টা আশা করেছিল ততটা পায়নি, তাই সেসসয় বেকারত্বের হার ১১.২ ভাগে স্থির ছিল। 

অবশ্য কর্মঘন্টা ০.১ ভাগ বেড়েছে। কিন্তু একই সাথে ভিক্টোরিয়াতে কর্মঘন্টা কমেছে শতকরা ৫ ভাগ, অন্যদিকে সারাদেশে বেড়েছে ১.৮ ভাগ। 

বিভক্তির এই চিত্র চাকরি হারানোর বেলাতেও পরিষ্কার, ভিক্টোরিয়া যে মাসে স্টেজ ফোর লকডাউনে গেছে তাতে ৪২,০০০ মানুষ চাকরি হারিয়েছে, সেই জায়গাটি পূরণ করেছে অন্য স্টেট ও টেরিটোরিগুলো। 

এপ্রিল মে মাসে হারানো চাকরীর অর্ধেকই আবার ফিরে এসেছে। তবে এই সুসংবাদের পরেও ট্রেজারার যশ ফ্রিডেনবার্গ পথটা যে এতো মসৃন হবে না তা সতর্ক করে দিয়েছেন।

একই ভবিষ্যৎবাণী সমর্থন করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওইসিডি, তারা ভিক্টোরিয়ার লকডাউনের কারণে আগামী বছরে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।

এদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং সরকারের অর্থনীতি বিভাগ পূর্বাভাস দিয়েছে যে, বছর শেষে বেকারত্ব শতকরা ১০ ভাগ বাড়বে, সেই সাথে একই প্রতিধ্বনি শোনা যায় অর্থনীতিবিদ এঞ্জেলা জ্যাকসনের সতর্কবাণীর মধ্যে যেখানে তিনি বলেছেন এই চিত্র হয়তো সত্যিকারের প্রতিফলন নয়। 

লেবার দলও শংকিত যে জবকীপার এবং জবসিকারে আসন্ন পরিবর্তন পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করবে।

ছায়া এমপ্লয়মেন্ট মিনিস্টার ব্রেন্ডান ও'কোনোর বলেন, "আমাদের আশংকা কর্মসংস্থান পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে, সরকার যদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের বঞ্চিত করে অর্থনীতি থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার প্রত্যাহার করে নেয় তবে বেকারত্ব ও কর্মীদের কর্মঘন্টা কমবে।"

এই আশংকার বিষয়টি সোতোমায়রের মতো অনেকেই অনুভব করে ফেলেছে, এরপরেও তিনি আশাবাদী।

পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন 

আরো পড়ুন: 

Share