অস্ট্রেলিয়ানদের ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশের অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে খসড়া বিল প্রকাশ

Religious discrimination bill

Prayers are offered with incense sticks at the Glebe Buddhist Temple in Sydney Source: AAP

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

ফেডারাল সরকার অস্ট্রেলিয়ানদের ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশের অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে খসড়া Religious Discrimination বা ধর্মীয় বৈষম্য বিলটি প্রকাশ করেছে। তবে বিভিন্ন এডভোকেসি গ্রুপ এবং বিরোধী দল এর সমালোচনা করছে, তারা সতর্ক করে দিয়ে বলছে যে এটি হয়তো বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।


ফেডারেল সরকার ধর্মীয় বৈষম্য বিলের খসড়া ঘোষণা করেছে।

অ্যাটর্নি-জেনারেল ক্রিশ্চিয়ান পোর্টার সিডনির গ্রেট সিনাগগে ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রস্তাবিত আইনটি প্রকাশ করেন।

মিঃ পোর্টার বলেছেন, সরকার অস্ট্রেলিয়ানদের জীবনে ধর্মীয় বিশ্বাসের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেয় এবং আইনগতভাবে তা রক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করে।

তারা বলেছে যে খসড়া বিলের লক্ষ্য হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ানরা যাতে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশ করতে সক্ষম হয় এবং এটি  অন্যান্য বৈষম্য বিরোধী আইনের মতোই হবে।

কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে যদি তারা ধর্মীয় বৈষম্য অনুভব করে তবে তারা অভিযোগ করতে পারবে।

মিঃ পোর্টার বলেছেন যে সরকার বিলটি লেখার জন্য "sword approach" বা "তলোয়ার  পদ্ধতির" পরিবর্তে "shield approach" বা "ঢাল পদ্ধতি" হিসেবে গ্রহণ করেছে।

এই খসড়া বিল অনুযায়ী যে কেউ ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতে পারলেও, কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যদি মনে করে কারো দৃষ্টিভঙ্গি বা মন্তব্যের ব্যাপারে তাদের আপত্তি করা প্রয়োজন তবে তারা তা করতে পারবে; এ ক্ষেত্রে তাদের প্রমাণ করতে হবে ওই দৃষ্টিভঙ্গি তাদের ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করে এই বছর রাগবি অস্ট্রেলিয়া রাগবি প্লেয়ার ইস্রায়েল ফোলাউয়ের সাথে করা চুক্তি বাতিল করেছে; এই আইনে এ ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে একটি ধারা রয়েছে।

ক্রিশ্চিয়ান পোর্টার বলেছেন যে বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এ জাতীয় পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে।

তবে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলি উদ্বিগ্ন যে, বিলটি তাদের অনুসারীদের খুব বেশি সুরক্ষা দেবে না।

দক্ষিণ সিডনির অ্যাংলিকান বিশপ মাইকেল স্টেড বলেন যে এই ধারাটির কারণে অনেকে  তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশে সক্ষম হবে না।

অন্যান্য ধর্মীয় নেতারা বলেন, তারা চান যে অ্যাটর্নি-জেনারেল তাদের সাথে আরও এ বিষয়ে আলোচনা করুক।

লেবারের আইন বিষয়ক মুখপাত্র, মার্ক ড্রেফাস বলেন, এই বিলটি নিয়ে আলোচনার জন্য জনসাধারণ এবং সংসদের অবশ্যই পর্যাপ্ত সময় থাকতে হবে।

কেউ কেউ সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে প্রস্তাবিত বিলটি এল-জি-বি-টি-আই-কিউ সম্প্রদায়ের সাথে বৈষম্য করার একটি সুযোগ তৈরি করবে।

গ্রিনস সিনেটর জ্যানেট রাইস বলেছেন যে তিনি খসড়া আইনটি দেখে ভীত হয়ে পড়েছেন।

একই মনোভাব জাতীয় এল-জি-বি-টি-আই-কিউ সংস্থা ইক্যুয়ালিটি অস্ট্রেলিয়ারও। 

সি-ই-ও আনা ব্রাউন বলেন যে, আইন যেটাই হোক তা যেন অবশ্যই প্রত্যেকের বেলায় সমান হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।

খসড়া আইনটি এখন সাধারণ জনগণের আলোচনার জন্য উন্মুক্ত এবং প্রত্যাশা করা হচ্ছে এটি  অক্টোবরে সংসদে উত্থাপিত হবে।

পুরো অডিওটি শুনতে ওপরের ছবিতে ক্লিক করুন 


Share