স্পার্ম ডোনারকে বৈধ পিতার স্বীকৃতি দিল অস্ট্রেলিয়ার উচ্চ আদালত

স্পার্ম (শুক্রাণু) ডোনারকে বৈধ পিতার স্বীকৃতি দিল অস্ট্রেলিয়ার হাইকোর্ট। গত বুধবার এক স্পার্ম ডোনারের কন্যা সন্তানের পিতৃত্বের দাবি নিয়ে করা মামলার রায়ে তাকে বৈধ পিতার স্বীকৃতি দিয়েছে হাইকোর্ট। তারা বলেছে, এক্ষেত্রে স্টেট ল কার্যকর হবে না।

A general view of the High Court of Australia (file image)

A sperm donor is fighting to be considered the legal father of a girl. (AAP) Source: AAP

গত বুধবার অস্ট্রেলিয়ার হাইকোর্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ একটি মামলায় রুলিংয়ে একজন স্পার্ম ডোনারকে একটি কন্যা শিশুর আইনসঙ্গত পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, কন্যা শিশুটির জীবনে সেই স্পার্ম ডোনারের ভূমিকা রয়েছে।

কেসটির শুনানি হয় গত এপ্রিলে। কমনওয়েলথ ল-এর পরিবর্তে স্টেট ল-এর প্রয়োগ করা হবে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হয় সেখানে।

স্টেট ল-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, স্পার্ম ডোনার প্যারেন্ট নয়।

কিন্তু, কোর্টে রবার্ট ম্যাসনের (কোর্টে ব্যবহৃত ছদ্মনাম) আইনজীবি যুক্তি দেন, যেহেতু কমনওয়েলথ ল’তে কোনো ফাঁক নেই, তাই স্টেট ল’গুলো এক্ষেত্রে প্রয়োগ করার কোনো সুযোগ নেই।

কমনওয়েলথ ল’ অনুসারে মিস্টার ম্যাসন প্যারেন্ট হিসেবে বিবেচিত। কারণ, তিনি শিশুটির বায়োলজিকাল ফাদার বা দৈহিক পিতা এবং তিনি শিশুটির জীবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

এতে হাইকোর্ট সম্মত হয় এবং গত বুধবার এক রায়ে বলে,

"The majority held that no reason had been shown to doubt the primary judge's conclusion that the appellant was a parent of the child."

২০০৬ সালের শেষ নাগাদ এই মামলাটির কার্যক্রম শুরু হয়। তখন মিস্টার ম্যাসন ও সুজান পার্সন্স (কোর্টে ব্যবহৃত ছদ্মনাম) কৃত্রিম উপায়ে বীর্যধারণের মাধ্যমে একটি শিশুর জন্ম দিতে সম্মত হন।

মিস্টার ম্যাসন সম্মত হন এই শর্তে যে, তিনি প্যারেন্ট হবেন এবং আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করবেন।

এরপর একটি নারী শিশুর জন্ম হয় এবং মেয়েটির পিতা হিসেবে মিস্টার ম্যাসনের নাম জন্মসনদে উল্লেখ করা হয়।
Chinese sperm bank
(Getty) Source: Getty Images
মেয়েটির ও তার ছোট বোনের জীবনের সঙ্গে মিস্টার ম্যাসন সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। তারা দু’জনই তাকে “ড্যাডি” বলে ডাকে।

সমস্যা দেখা দেয় তখনই যখন মেয়েটির মা ও তার পার্টনার মেয়েটিকে নিয়ে নিউ জিল্যান্ডে চলে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়।

মিস্টার ম্যাসন ফ্যামিলি কোর্টের মাধ্যমে তাদেরকে বাধা দেন। সেখানে তিনি পিতা হিসেবে বিবেচিত হন। কিন্তু, আপিল করা হলে, স্টেট-এর আইন অনুসারে তাকে পরিপূর্ণভাবে শুধু স্পার্ম ডোনার হিসেবে রুলিং দেওয়া হয়।

সলিসিটর জেনারেল স্টেফান ডোনাঘো কিউসি যুক্তি দেন, এক্ষেত্রে কমনওয়েলথ ডেফিনিশন ব্যবহার করা উচিত। তিনি কোর্টে বলেন,

“স্টেট আইন এখানে প্রাসঙ্গিক নয়।”

মিজ পার্সন্স-এর আইনজীবি এবং তার পার্টনার বলেন, এই লোকটি শুধুমাত্র একজন স্পার্ম ডোনার। সে প্যারেন্ট নয়।

এ সম্পর্কে ইংরেজিতে আরও পড়ুন এই 

Follow SBS Bangla on .


































Share
Published 20 June 2019 5:02pm
Updated 20 June 2019 5:08pm
By Sikder Taher Ahmad

Share this with family and friends