দিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ জেসিসি বৈঠক

ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশন বা জেসিসি-র সপ্তম দফার বৈঠক নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন।

ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের, জেসিসি-র সপ্তম দফার বৈঠক নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের, জেসিসি-র সপ্তম দফার বৈঠক নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। Source: UNB.com.bd

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নয়াদিল্লিতে জেসিসি-তে যোগ দিতে এসেছিলেন, কোভিড -১৯ মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ডাকা প্রথম শারীরিক সভা, আগের সংস্করণটি কার্যত ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

জেসিসি কোভিড -১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে সহযোগিতা-সহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ ধারা পর্যালোচনা করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংযোগ, শক্তি, জলসম্পদ, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিষয়গুলি-সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
মায়ানমারের রাখাইন অঞ্চল থেকে যাদের জোর করে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে,তার পুনর্বাসন এবং ঘরে ফেরানোর বিষয়ে যৌথ উদ্যোগের বিষয়টিও আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে। ভারত সফরকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু-সহ ভারত সরকারের পদস্থ এবং গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। ঠিক হয়েছে অষ্টম জেসিসি-র বৈঠক হবে ঢাকায় ২০২৩ এ।

বৈঠকে দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯৭১ এর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বন্ধুত্বের লড়াইয়ের কথা স্মরণ করেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বহুল প্রশংসিত, বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর চিত্রায়িত, মুজিব ছবিটির কথাও এসেছে।

গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কবিন্দের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টিও দু’দেশের বন্ধুত্বের দৃঢ় সম্পর্কের ছবি হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
২০২০ এর ডিসেম্বরে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সামিটে অংশ নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওই বৈঠকের আগেই ২০২০ এর সেপ্টেম্বরে ভার্চুয়ালি দু’দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। সে অর্থে করোনা-পরবতী সময়ে এবারের জেসিসি বৈঠক ছিল মুখোমুখি বসে কথা বলার আয়োজন।

করোনা-কালে প্রতিবেশী দেশ, ভারত যেভাবে, বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাও স্মরণ করা হয়েছে। আর, করোনা-পরবর্তী সময়ে নতুন সমস্যা হিসেবে উঠে আসা সাইবার সিকিউরিটির বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে। দু’দেশের মধ্যে দিয়ে বহমান নদীর প্রসঙ্গ যেমন বৈঠকে আলোচনায় এসেছে, তেমনি গুরুত্ব পেয়েছে সীমান্তের নিরাপত্তা এবং নজরদারির বিষয়টি।

বৈঠক শেষে রবিবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক সহযোগিতা, সমন্বয় এবং উন্নয়ন এর প্রশ্নে দু’দেশের বিদেশমন্ত্রী সহমত প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ, দুর্যোগ মোকাবিলা, পুনর্বাব্যহার যোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে দু’দেশের উদ্যোগের কথা উঠে এসেছে আলোচনায়।

এদিকে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচল করা তিনটি ট্রেন ৯ দিন বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ৬ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে চলা মিতালি এক্সপ্রেস এবং ৭ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা থেকে খুলনা রুটের বন্ধন ও ঢাকা-কলকাতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেস বন্ধ থাকবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ দু’বছর পর গত ২৯ মে মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয়। আর নতুন ট্রেন মিতালি এক্সপ্রেস চালু হয় ১ জুন।এখন মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে কলকাতায় সপ্তাহে পাঁচ দিন চলাচল করে। বন্ধন এক্সপ্রেস খুলনা থেকে বেনাপোল সীমান্ত হয়ে কলকাতা পর্যন্ত সপ্তাহে দু’ দিন চলাচল করে। আর নতুন ট্রেন মিতালি এক্সপ্রেস সপ্তাহে চার দিন চলাচল করে।

Follow SBS Bangla on .

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share
Published 21 June 2022 10:05am
By Partha Mukhopadhyay

Share this with family and friends