ঢাকা শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে

ঢাকায় বাতাসের মান অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ।ঢাকা শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।ইউএস এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (ইউএস একিউআই) অনুসারে এয়ার ভিজ্যুয়াল ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা পিএম ২ দশমিক ৫-এর মাত্রাকে। বাতাসে ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের ছোট দূষিত বস্তুকণার উপস্থিতি পরিবেশে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।

Air Pollution In Dhaka

Bangladeshi people make their move in polluted air environment in Dhaka on November 25,2019. Source: NurPhoto

সিডনিতে বুশফায়ারে এর পর বায়ুর দূষণ মাত্রা এতটা বেড়ে গিয়েছিলো এতে করে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পরে। তবে এই দূষণ ছিল স্বল্প স্থায়ী। কিন্তু বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার এই মুহূর্তে বায়ু দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বিপজ্জনক ও খারাপ পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছে।বিশ্বের বায়ুর গুণমান যাচাইকারী সবচেয়ে বড়ো ডাটাবেইস এয়ার ভিজ্যুয়ালের প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুমান এখন ২৪২। বায়ুদূষণে ঢাকার পরই রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর শহরের অবস্থান। এর মধ্যে দিল্লির স্কোর ২১১, লাহোর ও উলানবাটোরের ১৯৮। যদি কোনো দেশের একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকে, তখন ঐ এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি লক্ষ্য করা যায়। এ সময় বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। দূষিত দেশের তালিকায় শীর্ষস্থানে থাকা অন্য দেশগুলো হচ্ছে—আফগানিস্তান, বাহরাইন, কুয়েত, নেপাল, আরব আমিরাত, নাইজেরিয়া।

এয়ার ভিজ্যুয়াল এর রিপোর্ট অনুযায়ী  বায়ুদূষণ এখন স্বাস্থ্যের জন্য সর্বাধিক পরিবেশগত ঝুঁকি। এর ফলে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৭ মিলিয়ন  মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।বায়ুদূষণ এখন অকালমৃত্যুর জন্য বিশ্বের চতুর্থ কারণ। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে খরচ হচ্ছে—আড়াইশ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে বড়ো প্রভাব ফেলছে।যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, বায়ুতে যেসব ক্ষতিকর উপাদান আছে, তার মধ্যে মানবদেহের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক পিএম ২ দশমিক ৫ উপাদান সবচেয়ে বেশি নির্গত করত চীন। গত দুই বছরে চীনকে টপকে ঐ দূষণকারী স্থানটি দখল করে নেয় ভারত।
Commuters drive and ride on a road under heavy smog conditions in Dhaka on November 26, 2019.
Commuters drive and ride on a road under heavy smog conditions in Dhaka on November 26, 2019. - Source: AFP
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের যৌথ ভাবে  প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, বায়ুতে যেসব ক্ষতিকর উপাদান আছে, তার মধ্যে মানবদেহের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক পিএম ২ দশমিক ৫ উপাদান সবচেয়ে বেশি নির্গত করত চীন। গত দুই বছরে চীনকে টপকে ঐ দূষণকারী স্থানটি দখল করে নেয় ভারত। ভারতকে টপকে এখন এক নম্বরে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে জাপানের টোকিও শহর। কৃত্রিম উপগ্রহের থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বায়ুদূষণের পরিমাণ পরিমাপ করা হয়েছে। বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১২৩ হাজার  মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে  উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে বায়ুদূষণের কারণে শিশুমৃত্যুর হারের দিক থেকে পাকিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।

ঢাকায় বাতাসের মান অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ।ঢাকা শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।

ইউএস এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (ইউএস একিউআই) অনুসারে  এয়ার ভিজ্যুয়াল  ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা পিএম ২ দশমিক ৫-এর মাত্রাকে। বাতাসে ২ দশমিক ৫ মাইক্রনের ছোট দূষিত বস্তুকণার উপস্থিতি পরিবেশে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। মানুষের শ্বাস প্রক্রিয়া আক্রান্ত করে মৃত্যু ঝুঁকি সৃষ্টি করছে পিএম ২ দশমিক ৫। বিশ্বের দূষিত শহরগুলোতে মানুষের আয়ু হ্রাস, মৃত্যু ও স্বাস্থ্যঝুঁকির অন্যতম কারণ এ ক্ষতিকর ধূলিকণা।



Share
Published 28 November 2019 4:01pm
Updated 28 November 2019 4:08pm
By Abu Arefin

Share this with family and friends